যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাউফলের ঐতিহাসিক পুরাকীর্তিগুলি ধ্বংস পথে

যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাউফলের ঐতিহাসিক পুরাকীর্তিগুলি ধ্বংস পথে

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ঐতিহাসিক পুরার্কীতিগুলি প্রায় ধ্বংসের পথে। এখানকার উল্লেখযোগ্য কীর্তিগুলি হচ্ছে, চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের রাজধানী কচুয়া, কমলারানীর দীঘি, ঘষেটি বিবির মসজিদ, তমিরুদ্দিন আউলিয়ার মাজার, কালিশুরীতে সৈয়দ আরেফিনের মাজার ও আদি যুগের মেলা, মদনপুররা গ্রামের ঢোল সমুদ্র দীঘি, কাছিপাড়া কানাই বলাই পুকুর, বগাতে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন চাউলের গোলা এবং বিলবিলাসে শেরে বাংলার পূর্ব পুরুষের মাজার। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এই সকল কীর্তি যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন, সংস্কার এবং সংরক্ষনের ব্যাপারে সংশ্লিস্ট মহলের উদ্যোগ নেই। এমনকি নাম ফলকও দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে কোন কোন স্থানে এবং স্থাপত্য নির্দশনের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার অভিপ্রায়। দু চারটি যাহা আছে তাহা আবার বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম। 
চন্দ্রদ্বীপ রাজাদের শৌর্য-বীর্যের স্মৃতি কমলা রানী দীঘি: বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর ও খুলনা জেলার অংশ বিশেষ নিয়েছিল চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য। চতুর্দশ শতকে চন্দ্রদ্বীপ ছিল বাকলা নামে পরিচিত। আর বাকলার রাজধানী বাউফলের কালাইয়া বন্দরের অদূরে কচুয়া নামক স্থানে ছিল। কালের বিবর্তনে ও তেঁতুলিয়ার করাল গ্রাসে রাজধানী কচুয়ার কোন চিহ্ন নেই। ইতিহাস থেকে জানা যায, বাকলার রাজধানী থেকে দনুজমর্দনদেব, তার পুত্র রমা বল¬ব, তৎপুত্র কৃষ্ণ বল¬ব এর পর পর্যায় ক্রমে হরি বল¬ব, জয়দেব এবং তার কন্যা কমলা রানী এরা ৪০০ বছর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য শাসন করে গেছেন। রাজা জয়দেবেরে মৃত্যুর পর কন্যা কমলা রানী ১৪৯০ সালে সিংহাসনে বসেন। ওই সময় গৌরের সুলতান ছিলেন আলাউদ্দিন হোসেন শাহ। কথিত আছে, ৪০০ বছর যারা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য শাসন করেছেন তাদের মধ্যে সর্বগুন সম্পন্ন শেষ্ঠ শাসক ছিলেন কমলা রানী শুধু তাই নয় রাজকুমারী কমলাই ছিলেন প্রথম ও শেষ মহিলা। যিনি রাজ্য শাসন করে চন্দ্রদ্বীপ তথা মধ্য যুগের বাংলার ইতিহাসে নারী সমাজের ক্ষমতায়নে অবিস্মরনীয় হয়ে আছেন। নারী হয়ে ওই যুগে রাজ্য শাসন করা ছিল অকল্পনীয়। কমলা নেই আছে শুধু কালের সাক্ষী হয়ে চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের শোর্যবীর্য়ের স্মৃতি চিহ্ন কমলা রানীর দীঘি। কথিত আছে, কমলার নামেই দীঘির নাম করন করা হয়েছে। ওই দীঘিতে ডুবেই কমলা মৃত্যুবরন করেন। দীঘিতে ডুবে কমলার মৃত্যু হওয়ার কারনে ইংরেজ লেখকেরা বাউফলকে বউ-ফল নামে অভিহিত করেন। স্ত্রী কমলার নামেই দীঘির নামকরন করা হয়। দীঘির পশ্চিম পাড়ে শ্বেত পাথর দিয়ে ঘাট বাধানো হয়। দীঘি কাটা হলেও আশ্চর্য্যরে বিষয় দীঘিতে পানি ওঠে না। কমলা রানীর দীঘি নিয়ে এলাকায় বহু কিচ্ছা কাহিনী রয়েছে। কমলা রানীর দীঘির সুউচু পাড়ে বর্তমানে জনবসতি গড়ে উঠেছে।
মদনপুরায় ঢোল সমুদ্র দীঘি: জনশ্রুতি আছে, রাজা যশো রাজপাল মায়ের আদেশে বিশাল আকৃতির দীঘি খননের কাজ শুরু করেন। মায়ের আদেশে ছিল দীঘির তলদেশ হতে ঢোলের শব্দ শোনা মাত্র দীঘি খননের কাজ বন্ধ করতে হবে। যখন ঢোলের শব্দ শোনা গেছে তখন ঢোলের খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিশালাকায় অর্থাৎ সমুদ্রের মত দীঘি নামকরন হয়েছ ঢোল সমুদ্র দীঘি। দীঘির চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। এখন দীঘির পাশ দিয়ে হেটে যাওযার সময় ঢোল বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শোনা যায়। 
তমির উদ্দিন আউলিয়ার মাজার: কমলারানীর দীঘি থেকে অর্ধকিলোমিটার দক্ষিনে রাস্তার পাশেই সু উচ্চ বটবৃক্ষের নিচে মাজারটি। এখন হইতে দেড় থেকে দু শত বছর পূর্বে যশোর হতে পাগল বেশে ওই ব্যক্তির এলাকায় আগমন ঘটে। ওই ব্যাক্তি কে নিয়ে বহু অলোকিক ঘটনা, কল্পকাহিনী এলাকার প্রবীণদের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। মাজারে প্রতিদিন দূর দূরান্ত হইতে বহু নারী পুরুষ মানত নিয়ে আসে। জানা গেছে, প্রতিবছর চৈত্র মাসে মাজারের পাশে ওরশ হয়।
মাজারে পাশে ববসবাস করছেন লালবরু বেগম জানান, তমির উদ্দিন আউলিয়া মারা গেছে ঠিকই কিন্তু এলাকার অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পান। আবার চোখের পলকের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যান। এলাকার নিবাসী নয়া মিয়া জানান, আমরা তমির উদ্দিন আউলিয়ার সর্ম্পকে দাদা দাদীর কাছে অলৌকিক কাহিনী শুনে আসছি। কিন্তু মাজারটি রক্ষনাবেক্ষন  নেই। মাজার ঘরটি পুরানো হয়ে গেছে। মাজার পাশে স্তম্বটি লেখা নেই।
শেরে বাংলার পূর্ব পুরুষের বাড়ী: বিলবিলাসের কাজীবাড়ী ছিল শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের পূর্ব পুরুষের বাড়ী। আঠারো শতকের দিকে ভগলপুর হতে শেরবাংলার পূর্ব-পুরুষের বিচারকের চাকুরী নিয়ে বিলবিলাস গ্রামে আসে। শেরেবাংলার দাদা কাজী আকরাম ১৮২০ সালে বিলবিলাস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী আকরামের পিতা কাজী আমীনের কবর বিলবিলাস কাজীবাড়ীতে অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
কালিশুরীতে  হযরত সাইয়েদুল আরেফিন  ঐতিহাসিক নির্দেশন: হযরত সাইয়েদুলআরেফিন নামাজের চাদরের উপরে বসে বাউফল থানার কালাইয়ার কাছে তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রম করে ছিলেন। তার এ আগমনকে কেন্দ্র করে কালিশুরী নামকরন সহ ঐতিহাসিক নির্দেশন রয়েছে। রয়েছে নানা কল্পকাহিনী।
কথিত আছে, একদিন তিনি বর্তমান কালিশুরী গ্রামের মধ্য দিয়ে যাইবারকালে কালী নাম্নি একটি শুড়ীর মেয়েকে দেখতে  পেলেন। যে সে প্রাত:কালিন রান্না পরিবেশনের উদ্দেশ্য নদীর তীরে চাল ধুইবার জন্য আসতেছে। এমত সময় দরবেশ উক্ত মহিলাকে বললেন তাহার জন্য যে আহার্য্য প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু দরবেশ যে মুসলমান সেই জন্য সে উহাতে অস্বীকৃত জানাল। ইহাতে দরবেশ উক্ত মহিলাকে তাহার চাউলের পাত্রের প্রতি নজর করতে বললেন, মহিলাটি তার পাত্রের প্রতি নজর  করে যা দেখল তাাতে সে আশ্চার্যম্বিত হল। কেননা সে দেখতে পেল তার পাত্রের সমস্ত চাউল সদ্য প্রস্তুত রান্না করা আহার্য্য দ্রব্যের মত রান্না হয়ে গেছে। এ হতম্বিত অলৌকিক কার্যদশনে কালী ওই মুহুর্তে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। এবং দরবেশ সাহেবকে জানাইল এই স্থানে থাকিয়া যেন তিনি ইসলাম ধম প্রচার করেন। কারন এই স্থানটি হিন্দু প্রদান এবং এখানে হিন্দুদের প্রভাব প্রতিপত্তি অত্যান্ত বেশি। তিনি একটু চেষ্টা করলেই এখানে ইসলাম প্রচারকার্য সফল করিতে পারবে। কালির বাক্য শ্রবন করিয়া দরবেশ সাহেব প্রভুত খুশি হলেন। এবং উক্ত স্থানে অবস্থান করতেন। ইসলাম প্রচারে প্রস্তুত হলেন। 
এই কালিশুরীর নাসমানুসারে উক্ত স্থান কালিশুরী নামে অবিহিত করা হয়। অনেকে বলেন ওই হিন্দু মহিলার নাম ছিল কালি এবং কালির মায়ের নাম ছিল শুরী। দু নাম মিলে কালিশরী ইউনিয়নের নাম করন করা হয়। তিনি কালিকে বিবাহ করে ছিলেন। আবার কেউ বলেন কালি তার শিষ্যত্বগ্রহণ করে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ছিলেন। কালির মৃত্যুর পর তাকে সাইয়েদুল আরেফিন খানকার নিকট কবর দেওয়া হয়। তার স্বরনে উক্ত মাজারের নিকট প্রত্যেক বছর অগ্রহায়ন মাসে একমাস ব্যাপী মেলা বসত। বর্তমানে পহেলা বৈশাখ সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। এ মেলায় উপজেলার হাজার দোকান হরেক রকম পণ্য নিয়ে অংশগ্রহন করেন। এ মেলা কালিশুরী মেলা নামে বিখ্যাত ছিল। সাইয়েদুল আরেফিনকে কেন্দ্র করে এস এ মাধ্যমিক বিদালয়, দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কওমিয়া মাদ্রাসাএবং ঈদগাহ গড়ে ওঠে। মাজারের পাশে একটি বাধাই ঘাট রয়েছে। 

একসময় এই ঘাটে স্বর্নের থালা প্লেট সহ খাবার পরিবেশন করার বিভিন্ন  সরঞ্জমাদি ঘাটে উঠে আসত। এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ সরঞ্জমাদি নেওয়া হত। একদিন পার্শবর্তী একজন স্বর্নের লবন বাটি চুরি করে রেখে দিলে তার রক্তপাত হয়। একপর্যায় ওই লবনের বাটি ফেরত দিতে বাধ্য হয়। সেইদিন থেকে আর স্বর্নের সরাঞ্জমাদি ঘাটে উঠা বন্ধ হয়ে যায়। 
হযরত সাইয়েদুল আরেফিন একজন বিখ্যাত সুফী ছিলেন। তার আহবানে শত শত স্থানীয় অমুসলমান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার সাথে বাগদাদ থেকে কয়েকজন ভক্ত এসেছিলেন। তার মৃত্যু পর তাকে কালিশুরীতে কবর দেওয়া হয়। তার মাজারকে কেন্দ্র করে কালিশুরীর ইসলাম ধর্ম প্রচারের কেন্দ্র রুপে দক্ষিণ পূর্ববঙ্গে খ্যাতি অর্জন করে। 
খোজ নিয়ে আরো জানা গেছে,  হযরত সাইয়েদুল আরেফিন দিল্লীর সম্রাট দ্বিতীয় মোহাম্মাদ তুঘলকের রাজত্বকালে (১৩৮৮-১৪১৪ খৃ: ) চন্দ্রদীপে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। ১৩৩৮ খৃষ্টাব্দ তৈমুরলঙ্গের ভারত আক্রমনের সময় হযরত সাইয়েদুল আরেফিন  মধ্য প্রাচ্য হতে সমুদ্র পথে বাকলা বন্দরে আসেন। খুব সম্ভাব আরবীয় বা পারশ্যের বনিকদের সাথে তিনি প্রথমে চট্রগ্রাম এবং চট্রগ্রাম থেকে চন্দ্রদ্বীপে আসেন।
স্থানীয় প্রবাদ যে, তিনি পাথরের উপর ভেসে চন্দ্রদ্বীপে আসেন। ১৫ ও ১৬ শতকে বাংলাদেশে অনেক সুফী সাধক ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন। সিলেটের হযরত শাহজালালবাগের হাটের হযরত খান জাহান গৌড়ের নুর কুতুব উল আলম, উত্তরবঙ্গের শাহ মগদুম ও বাকলার সাইয়েদুল আরেফিন ইসলাম ধর্ম প্রচার করে বাংলার ইতিহাসে স্বরনীয় হয়ে আছেন। সাইয়েদুল আরেফিন বার আউলিয়ার অন্যরকম দরবেশ ছিলেন। 
সরেজমিন চিত্রে কালিশুরী গেলে সায়েদুল আরেফিন নামে কারুকার্য করা একটি মসজিদ দেখা গেছে। পাশে হাফিজিয়া মাদ্রসা রয়েছে। এ মাদ্রসায় ছোট ছোট শিশুরা কোর আন হেফজ শিখছেন। সায়েদুল আরেফিন ইনষ্টিটিউট ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মো: নেছার উদ্দিন জামাল জানান, শ্রদ্ধেয় সায়েদুল আরেফিন পদদলীতে কালিশরী ধন্য। এ নামে বিশ্ববাসীর কাছে এলাকাটি পরিচিতি রয়েছে। সায়েদুল আরেফিন অলোকিক অনেক ঘটনা রয়েছে। দেশের এলাকা নিয়ত করে  বিভিন্ন লোক আসে। এবং তাদের প্রত্যাশিত আশা পূর্ন হচ্ছে বলে বেশির ভাগ লোকের মুখ থেতে শোনা গেছে। 
ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি ঘষেটি বিবির মসজিদ: পুরাকীর্তি নির্দশন হচ্ছে ঘষেটি বিবির মসজিদ। কমলারানীর দীঘি হইতে ২ কিলেমিটার দক্ষিণে তেঁতুলিয়া নদীর তীরে শৌলা গ্রামে ঘষেটি বিবির মসজিদ। মসজিদটি দোতলা। ছোট ছোট ইট দ্বারা তৈরি মসজিদ টি। ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন কারুকার্য। জনশ্র“তি হচ্ছে, নবাব সিরাজ দৌলার খালা ঘষেটি বিবির মসজিদ। এ কথায় এলাকার অনেকে দ্বিমত পোষন করেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, আসলে সেই  ঘষেটি বেগম এর মসজিদ নয়।
চরশৌলার প্রবীণ লোকদের নিকট জানা যায়, এখন হইতে প্রায় দেড়শত বছর পূর্বে ওই এলাকার জনৈক এক ব্যাক্তি পায়ে হাটিয়া মক্কা শরীফ হজ্জ করতে যান। তিনি মদীনা শরীফে ৫ বছর থাকেন এবং সেখানে ঘষেটি বেগম নামে এক মহিলাকে বিবাহ করেন। দেশে আসার সময় ওই মহিলাকে নিয়ে আসেন। ঘষেটি বেগম কি নিয়ে থাকা পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা জন্য দোতলা মসজিদ নির্মান করেন। মসজিদের উপর তলায় তাহারা থাকিতেন এবং নিচে নামাজ পড়িতেন। ওই মহিলার নাম অনুসারে উহা ঘষেটি বিবির মসজিদ নামে পরিচিতি। 
এলাকাবাসী জানান, মসজিদটি ঘিরে রয়েছে, কল্পকাহিনী। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আযান দিলে সাপ বের হতো। একটি সাপ মারার পর আর সাপ দেখা যায়নি। দক্ষিণাঞ্চলের যে কোন জেলা থেকে বেড়াতে আসলে ই পুরাকীতি হিসাবে মনে করিয়ে দেয় ওই মসজিদের কথা। প্রতিদিন অনেক ভক্ত দর্শক মসজিদে যান এবং রোগ বালাই জন্য মানত করে থাকেন।
প্রত্যক্ষ দর্শী কয়েকজন জানান, অনেকে মসজিদ আছেন। তাদের রোগ বালাই ভাল হয় নাকি শুনেছি। তবে ঘষেটি বিবির মসজিদ দেখার জন্য বেশি আকর্ষন চরবাসীর। কারন চরবাসী নাকি খোদা ভক্ত বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেখার পর পর্যটকগন একটু দেখে যেতে পারে একই জেলার বাউফল উপজেলার কয়েকটি নির্দশন। মসজিদ পূর্বপাশে রয়েছে তেঁতুলিয়া নদী। নদীর মধ্যে জেগে ওঠেছে বিশাল চর। চর কাশেম নামে পরিচিতি। এ চর কাশেম পিকনিক করার মত একটি মনোমুগদ্ধকর একটি জায়গা।